নতুন শ্রমচুক্তিতে অনুমোদন আইএলডব্লিউইউর সাধারণ সদস্যদের

যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল লংশোর অ্যান্ড ওয়্যারহাউস ইউনিয়নের (আইএলডব্লিউইউ) সাধারণ সদস্যরা গত জুনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও প্যাসিফিক মেরিটাইম অ্যাসোসিয়েশনের (পিএমএ) মধ্যে স্বাক্ষরিত শ্রমচুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশটির পশ্চিম উপকূলীয় বন্দরগুলোয় চলে আসা গত এক বছরের বেশি সময়ের অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার অবসান হতে চলেছে।

আইএলডব্লিউইউ এখন পর্যন্ত নতুন শ্রমচুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, নতুন চুক্তিতে শ্রমিকদের মজুরি ও পেনশন ব্যবস্থায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ছয় বছরে আইএলডব্লিউইউ সদস্যদের মজুরি ৩২ শতাংশ বাড়বে। এদিকে পিএমএ জানিয়েছে, বর্তমানে আইএলডব্লিউইউর পূর্ণকালীন ডক শ্রমিকদের গড় আয় বছরে প্রায় ২ লাখ ডলার। নতুন চুক্তির ফলে ২০২৯ সাল নাগাদ তাদের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়াবে গড়ে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

পিএমএর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছনোর পর আইএলডব্লিউইউ নেতারা সংগঠনটির ২০ হাজার সাধারণ সদস্যের কাছে এটি পাঠিয়েছিল অনুমোদনের জন্য। ইউনিয়নের মোট ২৯টি লোকাল ইউনিটের সদস্যরা চুক্তির শর্তগুলো পর্যালোচনা করে ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আইএলডব্লিউইউর ব্যালটিং কমিটি জানায়, সংগঠনটির ৭৫ শতাংশ সদস্য নতুন চুক্তির পক্ষে মত দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের ২৯টি বন্দরে কর্মরত ২ হাজার ২০০ ডক শ্রমিকের নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সালের ১ জুলাই শেষ হয়। গত বছর ১০ মে অর্থাৎ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই মাস আগে থেকে পরবর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসে আইএলডব্লিউইউ ও পিএমএ। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত আলোচনা বেশ ইতিবাচকভাবে এগুলোও ২০২২ সালের শেষ দিকে আলোচনার গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে যায়।

কোভিড-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্টের পশ্চিম উপকূলবর্তী বন্দরগুলোর কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পায়। কাজের গতি বেড়ে যাওয়ায় সে সময় বেশ বড় অংকের লাভের মুখ দেখে বন্দরগুলো। বিশাল সেই আয় থেকে শ্রমিকদের জন্য লভ্যাংশ দাবি করে আইএলডব্লিউইউ। এছাড়া প্রায় এক বছর চুক্তিবহির্ভূতভাবে কাজ করায় শ্রমিকদের ভেতর অসন্তোষ দেখা দেয়। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে লস অ্যাঞ্জেলস ও লং বিচ বন্দরে কাজের গতি কমিয়ে দেয় ডক শ্রমিকেরা।

চুক্তির আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় ৬ ও ৭ এপ্রিল শ্রমিকদের কাজ করা থেকে বিরত রাখে ‘আইএলডব্লিউইউ লোকাল ১৩’ ইউনিট। এর ফলে লস অ্যাঞ্জেলস ও লং বিচ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এরপর লস অ্যাঞ্জেলস, লং বিচ, ওকল্যান্ড, টাকোমা ও সিয়াটল বন্দরে শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে থাকায় ২ জুন পশ্চিম উপকূলের বেশ কয়েকটি বন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here