খাদ্যশস্য রপ্তানিতে ক্রোয়েশিয়ার বন্দর ব্যবহার করছে ইউক্রেন

কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে। কিন্তু গত বছর রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর একদফা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ থেকে মস্কোর পিছু হটার পর আরেকদফা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বন্দরগুলো। এতে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানিও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিকল্প রপ্তানি রুট খুঁজছে কিয়েভ। এরই অংশ হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার সমুদ্র বন্দরগুলো ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি শুরু করেছে ইউক্রেন। দেশটির কর্মকর্তারা সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন।

গত জুলাইয়ের শেষের দিকে ক্রোয়েশিয়া সফর করেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। এ সময় তিনি জানান, দানিয়ুব নদী ও আদ্রিয়াটিক সাগরের তীরে ক্রোয়েশিয়ার বন্দরগুলো ব্যবহার করে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির সম্ভাবনার বিষয়ে দেশদুটি একমত হয়েছে।

সম্প্রতি এক লিখিত বিবৃতিতে ইউক্রেনের ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ইউলিয়া ভিরিদেঙ্কো বলেছেন, ‘ইউক্রেন এরই মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি শুরু করেছে। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ অবশ্য ঠিক কী পরিমাণ শস্য এখন পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া হয়ে রপ্তানি হয়েছে, সেটি জানাননি ইউলিয়া।

ইউক্রেনের খাদ্যশস্যের কিছু চালান রেলপথে ইউরোপীয় বন্দরগুলোয় পাঠানো হচ্ছে। তবে দেশটির ব্রোকাররা জানান, সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পাঠাতে যে খরচ হয়, তার চেয়ে এই প্রক্রিয়া বেশি ব্যয়বহুল।

ইউক্রেনিয়ান গ্রেইন অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর দেশটির খাদ্যশস্য ও তেলবীজ উৎপাদন ৮ কোটি টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে প্রায় ৫ কোটি টন চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে রপ্তানি করা যাবে। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটি থেকে মোট ৪৫ লাখ টন খাদ্যশস্য ও তেলবীজ রপ্তানি হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here