ফিলিক্সটো পোর্ট

ফিলিক্সটো বন্দর হলো যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। এর অবস্থান সাফোক কাউন্টির বন্দরনগরী ফিলিক্সটোতে। যুক্তরাজ্যের মোট কনটেইনার পরিবহনের ৪৮ শতাংশ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে। ২০১৭ সালে এটি ছিল বিশ্বের ৪৩তম এবং ইউরোপের অষ্টম ব্যস্ত কনটেইনার পোর্ট। সে বছর বন্দরটি দিয়ে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। ২০২১ সালের লয়েড’স লিস্টে এর অবস্থান ছিল ৫১তম।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ফিলিক্সটো বন্দর ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বন্দর পরিচালনায় রয়েছে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানি। ‘ফিলিক্সটো রেলওয়ে অ্যান্ড পিয়ার অ্যাক্ট, ১৮৭৫’ শীর্ষক পার্লামেন্টারি আইনের অধীনে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি হলো যুক্তরাজ্যের সেসব মুষ্টিমেয় কোম্পানির একটি, যেগুলো লিমিটেড কোম্পানি হলেও নামের সঙ্গে ‘লিমিটেড’ শব্দটি ব্যবহার করে না।
৮ হাজার ৩৬০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বন্দরটির বেশিরভাগ জমিরই মালিক ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ। ১৯৩০-এর দশকে তারা ফিলিক্সটোর কাছে এই জমি কেনে। সে সময় সেখানে ছোট্ট একটি ডক ছিল। এটি এতই ছোট ছিল যে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ডক লেবার স্কিমে তা তালিকাভুক্ত ছিল না।
কনটেইনারে করে পণ্য পরিবহনে আর্থিক সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৯৬৭ সালে ফিলিক্সটো বন্দরে ৩৫ লাখ পাউন্ড ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় যুক্তরাজ্যের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল। এই দীর্ঘ যাত্রার সুবাদে বন্দরটি আজ যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম কনটেইনার পোর্টে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির মালিক হাচিসন পোর্ট হোল্ডিংস গ্রæপ (এইচপিএইস)। এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ১৯৫১ সালে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানিকে কিনে নিয়েছিল গর্ডন পারকার নামের এগ্রিকালচারাল মার্চেন্ট কোম্পানি। সে সময় বন্দরটি কেবল খাদ্যশস্য ও কয়লা হ্যান্ডলিং করত। ১৯৭৬ সালে ফিলিক্সটো চলে যায় ইউরোপিয়ান ফেরি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। ১৯৯৪ সালে ফিলিক্সটো বন্দরের ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় বর্তমান মালিক এইচপিএইস।
ফিলিক্সটো বন্দরের রয়েছে পুরনো দুটি কনটেইনার টার্মিনালÑট্রিনিটি ও ল্যান্ডগার্ড। এছাড়া রয়েছে একটি রো-রো টার্মিনাল। বন্দরের রয়েছে একটি ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন জেটি, যেটিতে রয়েছে ২৯টি শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন। বন্দরের প্রধান নেভিগেশন চ্যানেলের গভীরতা ১৪ দশমিক ৫ মিটার। জেটির কাছে সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫ মিটার। এর ফলে ফিলিক্সটো বন্দরে নতুন প্রজন্মের বেশি ড্রাফটের পোস্ট-প্যানাম্যাক্স বাল্ক ক্যারিয়ার ও ১৮ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
ফিলিক্সটো বন্দরের মোট বার্থ সংখ্যা ১০টি। এর রয়েছে নিজস্ব পুলিশ, অগ্নিনির্বাপণ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া বন্দরের প্রত্যেক টার্মিনালের নিজস্ব রেল টার্মিনাল রয়েছে, যেগুলো ফিলিক্সটো ব্রাঞ্চ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।
২০০৮ সালে বন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ফিলিক্সটো সাউথ টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুটি পর্যায়ে এই কাজ সম্পন্ন করা হয়, যার অধীনে ১ হাজার ৩০০ মিটার দীর্ঘ নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয় এবং ১২টি নতুন শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযুক্ত করা হয়। এই জেটিতে সর্বোচ্চ ১৬ মিটার ড্রাফটের কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের মতো ফিলিক্সটো বন্দরকেও সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল, যার ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করেছিল ফিলিক্সটো বন্দর। ২০২০ সালে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যায়। সার্বিকভাবে সে বছর কার্গো হ্যান্ডলিং ২০১৯ সালের ২ কোটি ৫৩ লাখ টন থেকে ৯ শতাংশ কমে ২ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসে। ২০২১ সালে বন্দরটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩৭ লাখ টিইইউ।
ফিলিক্সটো বন্দর হলো যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। এর অবস্থান সাফোক কাউন্টির বন্দরনগরী ফিলিক্সটোতে। যুক্তরাজ্যের মোট কনটেইনার পরিবহনের ৪৮ শতাংশ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে। ২০১৭ সালে এটি ছিল বিশ্বের ৪৩তম এবং ইউরোপের অষ্টম ব্যস্ত কনটেইনার পোর্ট। সে বছর বন্দরটি দিয়ে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। ২০২১ সালের লয়েড’স লিস্টে এর অবস্থান ছিল ৫১তম।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ফিলিক্সটো বন্দর ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বন্দর পরিচালনায় রয়েছে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানি। ‘ফিলিক্সটো রেলওয়ে অ্যান্ড পিয়ার অ্যাক্ট, ১৮৭৫’ শীর্ষক পার্লামেন্টারি আইনের অধীনে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি হলো যুক্তরাজ্যের সেসব মুষ্টিমেয় কোম্পানির একটি, যেগুলো লিমিটেড কোম্পানি হলেও নামের সঙ্গে ‘লিমিটেড’ শব্দটি ব্যবহার করে না।
৮ হাজার ৩৬০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বন্দরটির বেশিরভাগ জমিরই মালিক ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ। ১৯৩০-এর দশকে তারা ফিলিক্সটোর কাছে এই জমি কেনে। সে সময় সেখানে ছোট্ট একটি ডক ছিল। এটি এতই ছোট ছিল যে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ডক লেবার স্কিমে তা তালিকাভুক্ত ছিল না।
কনটেইনারে করে পণ্য পরিবহনে আর্থিক সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৯৬৭ সালে ফিলিক্সটো বন্দরে ৩৫ লাখ পাউন্ড ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় যুক্তরাজ্যের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল। এই দীর্ঘ যাত্রার সুবাদে বন্দরটি আজ যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম কনটেইনার পোর্টে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির মালিক হাচিসন পোর্ট হোল্ডিংস গ্রæপ (এইচপিএইস)। এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ১৯৫১ সালে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানিকে কিনে নিয়েছিল গর্ডন পারকার নামের এগ্রিকালচারাল মার্চেন্ট কোম্পানি। সে সময় বন্দরটি কেবল খাদ্যশস্য ও কয়লা হ্যান্ডলিং করত। ১৯৭৬ সালে ফিলিক্সটো চলে যায় ইউরোপিয়ান ফেরি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। ১৯৯৪ সালে ফিলিক্সটো বন্দরের ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় বর্তমান মালিক এইচপিএইস।
ফিলিক্সটো বন্দরের রয়েছে পুরনো দুটি কনটেইনার টার্মিনালÑট্রিনিটি ও ল্যান্ডগার্ড। এছাড়া রয়েছে একটি রো-রো টার্মিনাল। বন্দরের রয়েছে একটি ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন জেটি, যেটিতে রয়েছে ২৯টি শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন। বন্দরের প্রধান নেভিগেশন চ্যানেলের গভীরতা ১৪ দশমিক ৫ মিটার। জেটির কাছে সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫ মিটার। এর ফলে ফিলিক্সটো বন্দরে নতুন প্রজন্মের বেশি ড্রাফটের পোস্ট-প্যানাম্যাক্স বাল্ক ক্যারিয়ার ও ১৮ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
ফিলিক্সটো বন্দরের মোট বার্থ সংখ্যা ১০টি। এর রয়েছে নিজস্ব পুলিশ, অগ্নিনির্বাপণ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া বন্দরের প্রত্যেক টার্মিনালের নিজস্ব রেল টার্মিনাল রয়েছে, যেগুলো ফিলিক্সটো ব্রাঞ্চ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।
২০০৮ সালে বন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ফিলিক্সটো সাউথ টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুটি পর্যায়ে এই কাজ সম্পন্ন করা হয়, যার অধীনে ১ হাজার ৩০০ মিটার দীর্ঘ নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয় এবং ১২টি নতুন শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযুক্ত করা হয়। এই জেটিতে সর্বোচ্চ ১৬ মিটার ড্রাফটের কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের মতো ফিলিক্সটো বন্দরকেও সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল, যার ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করেছিল ফিলিক্সটো বন্দর। ২০২০ সালে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যায়। সার্বিকভাবে সে বছর কার্গো হ্যান্ডলিং ২০১৯ সালের ২ কোটি ৫৩ লাখ টন থেকে ৯ শতাংশ কমে ২ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসে। ২০২১ সালে বন্দরটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩৭ লাখ টিইইউ।
ফিলিক্সটো বন্দর হলো যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। এর অবস্থান সাফোক কাউন্টির বন্দরনগরী ফিলিক্সটোতে। যুক্তরাজ্যের মোট কনটেইনার পরিবহনের ৪৮ শতাংশ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে। ২০১৭ সালে এটি ছিল বিশ্বের ৪৩তম এবং ইউরোপের অষ্টম ব্যস্ত কনটেইনার পোর্ট। সে বছর বন্দরটি দিয়ে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। ২০২১ সালের লয়েড’স লিস্টে এর অবস্থান ছিল ৫১তম।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ফিলিক্সটো বন্দর ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বন্দর পরিচালনায় রয়েছে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানি। ‘ফিলিক্সটো রেলওয়ে অ্যান্ড পিয়ার অ্যাক্ট, ১৮৭৫’ শীর্ষক পার্লামেন্টারি আইনের অধীনে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি হলো যুক্তরাজ্যের সেসব মুষ্টিমেয় কোম্পানির একটি, যেগুলো লিমিটেড কোম্পানি হলেও নামের সঙ্গে ‘লিমিটেড’ শব্দটি ব্যবহার করে না।
৮ হাজার ৩৬০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বন্দরটির বেশিরভাগ জমিরই মালিক ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ। ১৯৩০-এর দশকে তারা ফিলিক্সটোর কাছে এই জমি কেনে। সে সময় সেখানে ছোট্ট একটি ডক ছিল। এটি এতই ছোট ছিল যে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ডক লেবার স্কিমে তা তালিকাভুক্ত ছিল না।
কনটেইনারে করে পণ্য পরিবহনে আর্থিক সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৯৬৭ সালে ফিলিক্সটো বন্দরে ৩৫ লাখ পাউন্ড ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় যুক্তরাজ্যের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল। এই দীর্ঘ যাত্রার সুবাদে বন্দরটি আজ যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম কনটেইনার পোর্টে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির মালিক হাচিসন পোর্ট হোল্ডিংস গ্রæপ (এইচপিএইস)। এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ১৯৫১ সালে ফিলিক্সটো ডক অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানিকে কিনে নিয়েছিল গর্ডন পারকার নামের এগ্রিকালচারাল মার্চেন্ট কোম্পানি। সে সময় বন্দরটি কেবল খাদ্যশস্য ও কয়লা হ্যান্ডলিং করত। ১৯৭৬ সালে ফিলিক্সটো চলে যায় ইউরোপিয়ান ফেরি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। ১৯৯৪ সালে ফিলিক্সটো বন্দরের ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় বর্তমান মালিক এইচপিএইস।
ফিলিক্সটো বন্দরের রয়েছে পুরনো দুটি কনটেইনার টার্মিনালÑট্রিনিটি ও ল্যান্ডগার্ড। এছাড়া রয়েছে একটি রো-রো টার্মিনাল। বন্দরের রয়েছে একটি ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন জেটি, যেটিতে রয়েছে ২৯টি শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন। বন্দরের প্রধান নেভিগেশন চ্যানেলের গভীরতা ১৪ দশমিক ৫ মিটার। জেটির কাছে সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫ মিটার। এর ফলে ফিলিক্সটো বন্দরে নতুন প্রজন্মের বেশি ড্রাফটের পোস্ট-প্যানাম্যাক্স বাল্ক ক্যারিয়ার ও ১৮ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
ফিলিক্সটো বন্দরের মোট বার্থ সংখ্যা ১০টি। এর রয়েছে নিজস্ব পুলিশ, অগ্নিনির্বাপণ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া বন্দরের প্রত্যেক টার্মিনালের নিজস্ব রেল টার্মিনাল রয়েছে, যেগুলো ফিলিক্সটো ব্রাঞ্চ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।
২০০৮ সালে বন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ফিলিক্সটো সাউথ টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুটি পর্যায়ে এই কাজ সম্পন্ন করা হয়, যার অধীনে ১ হাজার ৩০০ মিটার দীর্ঘ নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয় এবং ১২টি নতুন শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযুক্ত করা হয়। এই জেটিতে সর্বোচ্চ ১৬ মিটার ড্রাফটের কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের মতো ফিলিক্সটো বন্দরকেও সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল, যার ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করেছিল ফিলিক্সটো বন্দর। ২০২০ সালে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যায়। সার্বিকভাবে সে বছর কার্গো হ্যান্ডলিং ২০১৯ সালের ২ কোটি ৫৩ লাখ টন থেকে ৯ শতাংশ কমে ২ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসে। ২০২১ সালে বন্দরটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩৭ লাখ টিইইউ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here