যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৬ টায় বন্দর ভবনসহ বন্দরের সকল দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জলযানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯ টায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি ও পর্ষদ সদস্যগণ বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাড়ে ৯ টায় বন্দর ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন বন্দর চেয়ারম্যান। এ সময় সকল বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং বন্দর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল দশটায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি এর নেতৃত্বে এক বিশাল শোক র‌্যালী বন্দর ভবন থেকে কাস্টম মোড় হয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালী শেষে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অবদান বিষয়ে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান । এ ছাড়াও বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদদের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি, বাঙ্গালি জাতি পেয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ।

তিনি বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নারী জাতিকে সমান ভাবে সমান সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা অর্জনে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে, তিনি না হলে এ সমুদ্র সীমা অর্জিত হত না।

বন্দর চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু  হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান জীবনের সকল ক্ষেত্রে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে চলার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার রক্তে গড়া এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে একাত্ন হয়ে সবাইকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করতে হবে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আজকের দিনটি জাতির জন্য কলঙ্কিত একটি দিন, এ দিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুননেসা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে যে সকল শহীদরা দেশের জন্য আত্নাহূতী দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনকে এগিয়ে নিয়েছেন তাদেরকে ও ১৯৭১ সালের শহীদ সকল বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

জাতির পিতার বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তোমরা দেশকে ভালোবাস, তোমরা বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাস।

যোহরের নামাজের পর বন্দর চেয়ারম্যান, সদস্যগণ ও বিভাগীয় প্রধানগণ ৮নং সড়কের বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

পরে অতিথিবৃন্দ চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ আয়োজিত শোক সভা, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আজিম সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here