বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে ডব্লিউটিও

বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অর্ধেকে নামিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডবিøউটিও)। এর প্রধান কারণ হিসেবে তারা ভোক্তা চাহিদার পতনের কথা জানিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দফায় দফায় সুদহার বাড়িয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ব্যয় কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ভোক্তারা। পূর্বাভাস কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে চীনের আবাসন খাতের চলমান সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবকেও বিবেচনায় নিয়েছে ডব্লিউটিও।

গত এপ্রিলে ২০২৩ সালের জন্য বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে ১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ডব্লিউটিও। সর্বশেষ পূর্বাভাসে তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশে নামানো হয়েছে। সংস্থাটির মতে, চলতি বছরে লোহা, ইস্পাত, টেলিকম যন্ত্রপাতি ও তৈরি পোশাক বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করতে পারে। তবে মহামারি-পরবর্তী সময়ে চাঙ্গা থাকা গাড়ির বাজার সামনের দিনগুলোতেও বিদ্যমান ধারা বজায় রাখবে।

আগামী সপ্তাহে বিশেষ আলোচনায় বসবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমও) ও বিশ্বব্যাংক। উভয় সংস্থাই বৈশ্বিক অর্থনীতির পূর্বাভাস কমিয়ে ফেলতে পারে। ২০২২ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ৩ শতাংশ এবং আগামী বছরের জন্য ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

এদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পিটারসন ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধার দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার কমানো শুরু করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাবাস দিয়েছে ডব্লিউটিও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here