ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘর্ষের জেরে আজ (সোমবার) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ২ ডলার ২৫ সেন্ট সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬ ডলার ৮৩ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি আড়াই ডলার বেড়ে ৮৫ ডলার ৩০ সেন্ট হয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন তেল উৎপাদন না করলেও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ তেল সরবরাহ করে। হামাস-ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকেই অস্থিতিশীল করে তুলেছে। চলমান সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে অত্র অঞ্চলের তেল উৎপাদন ও সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন যুদ্ধের আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মতো নিকটবর্তী তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে তেলের বাজারে সেটা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশ্লেষক সল ক্যাভোনিক। তিনি বলেন, চলমান সংঘাতে ইরান জড়িয়ে পড়লে ৩ শতাংশের বেশি বৈশ্বিক তেলের সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
পারস্য উপসাগরের অর্থনীতি তেল ও গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে উৎপাদিত তেল পারস্য উপসাগরের সঙ্গে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সংযোগস্থাপনকারী হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করা হয়। ক্যাভোনিক বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের দরুণ গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথটি বাধাঁপ্রাপ্ত হলে বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ‘আটকা পড়ে’ যাবে। এর ফলে তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর সামরিক হামলা চালানোর পর তেলের দাম বেড়ে যায়। গত বছর জুনে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলারে পৌঁছে গেছিলো। চলতি বছরের মে মাসে তেলের দাম কমে ৭০ ডলারে নেমে আসে। পরবর্তীতে তেলের দাম চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সৌদি আরব ও ওপেকভুক্ত অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।