প্রবৃদ্ধির গতি হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা আমদানি, কমল পূর্বাভাস

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা পণ্য আমদানি। প্রতি মাসেই আমদানির পরিমাণ আগের মাসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আমদানির পরিমাণ ২০১৯ সালে করোনা-পূর্ব সময়ের চেয়েও বেশি রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটাই কমেছে। এ অবস্থায় বাজার বিশ্লেষকরা বছরের বাকি সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা আমদানির পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা পণ্য আমদানির প্রায় পুরোটাই হয় কনটেইনারে করে। এ কারণে কনটেইনার আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করলেই খুচরা আমদানির হালচাল জানতে পারা যায়। চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৭ লাখ টিইইউ কনটেইনার আমদানি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগের পূর্বাভাসে ৫৯ লাখ টিইইউ আমদানির কথা বলা হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরের শেষের মাসগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা আমদানি আর নাও বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, আমদানি কমার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

কাস্টমসের নথিপত্র দেখে আমদানি-রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে ডেসকার্টেস। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কনটেইনার আমদানি সেপ্টেম্বরেও বেড়েছে। তবে প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম। অর্থাৎ আগস্টের প্রায় সমানই ছিল সেপ্টেম্বরের আমদানির পরিমাণ। গত মাসে মোট ২২ লাখ টিইইউ কনটেইনার আমদানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এটি গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে ডেসকার্টেস। এছাড়া ২০২১ ও ২০২২ সালের জোয়ারের তুলনায় কম থাকলেও গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা আমদানি হয়েছে ২০১৯ সালের গড়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ডেসকার্টের হিসাব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটির কনটেইনার আমদানি বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের (এনআরএফ) ধারণা, ২০২৩ সালে পুরো বছরে কনটেইনার আমদানির মোট পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ কোটি ২১ লাখ টিইইউ, যা গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here