টাইটানের ধ্বংসাবশেষ ও অভিযাত্রীদের দেহাবশেষ উদ্ধারের দাবি মার্কিন কোস্টগার্ডের

উত্তর আটলান্টিকে করুণ পরিণতি বরণ করে নেওয়া ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের দাবি করেছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। বাহিনীটি আজ (১০ অক্টোবর) জানিয়েছে, তাদের মেরিন বোর্ড অব ইনভেস্টিগেশনের (এমবিআই) প্রকৌশলীরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ ও ডুবোযানটির অভিযাত্রীদের সম্ভাব্য দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) ও ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড অব কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। উদ্ধারকৃত নমুনার মধ্যে রয়েছে টাইটানের পেছনের দিকের টাইটানিয়ামের তৈরি অংশবিশেষ। এছাড়া যাত্রীদের দেহাবশেষ বলে অনুমান করা হচ্ছে এমন কিছু নমুনা মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।

গত জুনে ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে ডুব দিয়েছিল আরওভি টাইটান। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জোনস থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানের আয়োজক ছিল মার্কিন কোম্পানি ওশানগেট এক্সপেডিশন। শেষ পর্যন্ত অভিযানটি সফল হয়নি। গভীর সাগরে পানির অন্তর্মুখী চাপের কারণে বিধ্বস্ত হয় টাইটান। এর পাঁচজন অভিযাত্রীর সবাইকে করুণ মৃত্যু বরণ করে নিতে হয়। তারা হলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হারডিং, ফরাসি ডুবুরি পল-হেনরি নারজিওলেট, পাকিস্তানি বিলিওনেয়ার শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলাইমান দাউদ এবং ওশানগেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টকটন রাশ।

১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিকে হিমবাহের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় সে সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ টাইটানিক। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের পথে প্রথম যাত্রাতেই এই দুর্ঘটনায় পড়ে জাহাজটি। টাইটানিকের ২ হাজার ২২৪ জন আরোহীর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি আরোহীর সলিল সমাধি হয়েছিল সেদিন। শান্তিপূর্ণ সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে মর্মান্তিক সমুদ্র দুর্ঘটনা বিবেচনা করা হয় একে। একশ বছরের বেশি সময় ধরে সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা সেই টাইটানিকই পরোক্ষভাবে আরও পাঁচটি জীবন কেড়ে নেয় টাইটান দুর্ঘটনার মাধ্যমে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here