ব্লু-ইকোনমি, বাংলায় যাকে আমরা বলছি সমুদ্র অর্থনীতি, ধারণাটির প্রথম প্রবর্তক গুন্টার পলি, ২০১০ সালে। মহাসমুদ্রের সুনীল জলরাশির অন্তরালে নিহিত বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এর প্রধান বিষয়। তবে তার সাথে অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে বৃহত্তর সমাজের। সংরক্ষণ করতে হবে পরিবেশের বিশুদ্ধতা। সূচনা ঘটাতে হবে উদ্ভাবনী এবং গতিশীল ব্যবসায়িক ধারণার।

সমুদ্র অর্থনীতি এবং টেকসই উন্নয়ন

২০১২ সালের রিও ডি জেনিরোতে টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রথম উত্থাপিত ব্লু-ইকোনমিশীর্ষক ধারণা দিয়ে বোঝানো হয়, আগামীদিনের জন্য একটি মহাসমুদ্র ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার কথা, যার উদ্দেশ্য হবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিবেশগত ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে আনা।

সমুদ্র অর্থনীতির কথা বলতে গিয়ে কেবল সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়ন বললে ব্যাপারটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। একইসঙ্গে বলতে হবে সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের প্রসঙ্গটিও। সমুদ্র অর্থনীতি আর টেকসই উন্নয়ন একীভূত একটি ধারণা। এ দুয়ের এক থেকে অপরের বিচ্ছিন্নতা অসম্ভব। তো এবার দেখা যাক, টেকসই উন্নয়ন বলতে কী বুঝি আমরা?

এর সর্বজনস্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে মূলত সেই ধরনের উন্নয়ন যা বিরাজমান সম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমানের চাহিদা মেটাবে, অথচ তা করার কারণে কোনো প্রকার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে না আগামী প্রজন্মকে।১

সমুদ্র অর্থনীতির প্রবক্তাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে বস্তুত উন্নয়নশীল উপকূলীয় দেশ এবং দ্বীপরাষ্ট্রগুলো। বস্তুত তারাই প্রথম উপলব্ধি করে মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কী বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম আমাদের মহাসমুদ্রগুলো। অতএব টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের প্রেক্ষিতে সমুদ্র অর্থনীতিকে আমাদের দেখতে হবে সম্ভবপর টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পথে এক শক্তিশালি হাতিয়ার হিসাবে।২

বাংলাদেশে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বড় অংশটাই সমুদ্রবাহিত। ১৩০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে বিশ্বে আমাদের অর্থনীতির অবস্থান ৪৪ তম। অনুমান, দেশের তিন কোটি লোকের জীবিকা সরাসরি সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি, যেমন, মাছ ধরা কিংবা বাণিজ্যিক পরিবহনের সাথে সম্পর্কিত। সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক কথাবার্তা বাংলাদেশে জোরেশোরে আরম্ভ হয় মূলত ২০১২ সালে মায়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর থেকেই। ওই ঘটনায় এতদাঞ্চলের সমুদ্রসম্পদ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিশাল সম্ভাবনা উম্মোচিত হয়ে যায় বাংলাদেশের সামনে।

সমুদ্র অর্থনীতি : বাংলাদেশের সম্ভাবনা

বাংলাদেশের প্রচলিত এবং বিকাশমান উভয় প্রকার খাতের সামনে টেকসই, নির্ঝঞ্ঝাট এবং সমতাভিত্তিক সামুদ্রিক প্রবৃদ্ধির অনেকগুলো সম্ভাবনা এনে হাজির করেছে সমুদ্র অর্থনীতি। যদিও এসব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বিষয়টি নির্ভর করছে অনেকগুলো স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের মাধ্যমে ১. নৌপরিবহন ও বন্দর অবকাঠামো ২. সমুদ্রপথের বাণিজ্য ৩. মৎসজীবিকা ৪. উপকূলীয় পরিবহন ৫. আকুয়াকালচার (সামুদ্রিক উদ্ভিদ চাষাবাদ কিংবা প্রাণীর খামার) ৬. নবায়নযোগ্য ব্লু-এনার্জি (নদীর পানি ও সাগরের পানির মিশ্রণপ্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন) ৭. বায়োটেকনোলজি, বা, প্রাণপ্রযুক্তি ৮. সমুদ্র তলদেশে খননকাজ ইত্যাদি খাতে সম্পদের টেকসই এবং বিবেচক ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তির অফুরান সম্ভাবনা নিয়ে অপেক্ষমান আমাদের মহাসমুদ্রগুলো থেকে- বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ, স্রোতশক্তি- অণুজীব ও তাপমাত্রার তারতম্য কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, লবণাক্ততার মাত্রাভেদ কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর। গবেষক এবং পর্যালোচকরা সমুদ্রসংক্রান্ত সম্ভাবনাময় খাতের মধ্যে অনুরূপ অনেকগুলো খাতের কথা নির্দেশ করেছেন যেগুলো পর্যাপ্ত অবদান রাখতে সক্ষম জাতীয় অর্থনীতিতে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখাতে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইলে সবার আগে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে নিজের সামর্থ্যরে উন্নয়ন এবং সমুদ্র অর্থনীতির অন্তর্ভুক্ত এসব খাতের সম্ভাবনা আবিষ্কারের ধারাবাহিক অভিজ্ঞতা।

টেকসই মৎস আহরণ ও প্রতিবেশ

বর্তমান দুনিয়ার ৩৫ কোটি লোক সরাসরি সমুদ্রে মৎস আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। এদের মধ্যে আবার ৯০ শতাংশেরই বাস উন্নয়নশীল দেশগুলোয়। বাংলাদেশে মোট মৎস উৎপাদনের ২০ শতাংশ আসে সমুদ্র থেকে। দেশের অন্তত পাঁচ লাখ লোক প্রত্যক্ষ এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। ২০০৯-২০১৫ মেয়াদে বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক লার্জ মেরিটাইম ইকোসিস্টেম প্রজেক্ট (বিওবিএলএমই) অনুসারে, প্রতিবছর বঙ্গোপসাগর থেকে গড়পড়তা ৬০ লাখ টন মৎস আহরণ করা হচ্ছে। এটি দুনিয়াজোড়া মৎস উৎপাদনের ১৬ শতাংশ।

অনুরূপ অনেক প্রকার উদ্ভিজ ও প্রাণিজ বসতির সুরক্ষা প্রদান করে থাকে

বঙ্গোপসাগরের লার্জ মেরিটাইম ইকোসিস্টেম প্রকল্প। যেমন, ম্যানগ্রোভ অঞ্চল (বিশ্বের মোট ম্যানগ্রোভের ১২ শতাংশ), প্রবাল প্রাচীর (বিশ্বের মোট প্রবাল প্রাচীরের ৮ শতাংশ) এবং ঘাসসমৃদ্ধ সমুদ্র তলদেশ। উঁচুমাত্রার প্রাণীবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অঞ্চল এটি। তার মধ্যে বেশ কয়েটি প্রজাতি অবস্থান করছে বিলুপ্তির হুমকিতে। সমুদ্রের প্রাণিজ সম্পদ উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী চরম দরিদ্র জনজীবনের কাছে সীমাহীন গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত পরিবারের আহার্যের মুখ্য জোগানদার হিসাবে।

ইতোমধ্যে মানুষের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে বিপুল পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে সমুদ্রের উৎপাদনশীলতা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তৈরি হয়েছে নানাবিধ ঘাটতি, যেমন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি এবং খোলা সমুদ্রে পুষ্টিমিশ্রণের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং টেকসই উন্নয়ন

নৌপরিবহন এবং বন্দর অবকাঠামো সুবিধা অর্থ বিবেচনায় ৭০ শতাংশ এবং আয়তন বিবেচনায় ৮০ শতাংশ বৈশ্বিক বাণিজ্য সমাধা হয়ে থাকে সমুদ্রপথে এবং বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে। ২০১৩ সালের আঙ্কটাডের মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট রিভিউ অনুসারে, দুনিয়াজোড়া অর্থনৈতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও সমুদ্রবাণিজ্য ৪.৩ শতাংশ বেড়ে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো উন্নীত হয়েছে নয় বিলিয়ন টনে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, উপকূলীয় দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক সমুদ্রবাণিজ্যের মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাতে হলে, সোনাদিয়াতে গভীর সমুদ্র বন্দরের কথা বিবেচনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর এবং পায়রা বন্দরকে শক্তিশালি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

ক্রমবর্ধমান এই বাণিজ্য থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে চাইলে উপকূলীয় দেশগুলোকে প্রথমেই নিজেদের অবকাঠামো সুবিধা এবং সামর্থ্য অনুসারে কৌশলগত অবস্থান নির্ধারণ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে মালামাল পরিবহনের জন্য নৌপরিবহন খাতই সর্বাপেক্ষা সুরক্ষিত, সবচেয়ে নিরাপদ, সর্বোচ্চ দক্ষ এবং সর্বাধিক পরিবেশবান্ধব। কেননা এই খাতে আশাতীত কমে এসেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা, শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে টার্নঅ্যারাউন্ড টাইমের ক্ষেত্রে,

দারুণভাবে হ্রাস পেয়েছে সাগরে কিংবা বাতাসে বর্জ্য নিষ্কাশনের মাত্রা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিরাজমান সুবিধা আধুনিকায়ন/সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর পর্যায়ে উন্নীত করা গেলে প্রভাবশালী একটি আঞ্চলিক প্রাণকেন্দ্র হিসাবে আবির্ভাব ঘটবে চট্টগ্রাম বন্দরের। আমাদের যা করতে হবে তা হচ্ছে, জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম কমানো ছাড়াও কনটেইনার/কার্গো ওঠানামার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো, কর্মীশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অস্থিরতা প্রশমন, ইত্যাদি।

অনেক সম্ভাবনা ইতোমধ্যে টোকা দিতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাবনার দরোজায়। অবস্থানিক বিবেচনায় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা এ বন্দর স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভূটানের পাশাপাশি বার্মা, চীন ও ভারতের নিকট-প্রতিবেশি এবং অর্থনৈতিক মহাশক্তি হিসেবে উদীয়মান ভারতও চাইছে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি অঙ্গরাষ্ট্রে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করতে। এর ফলে তাদের সময় এবং অর্থ দুটোরই সাশ্রয় ঘটবে। এভাবে প্রতিবেশি দেশগুলোকে বন্দর-সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে বাংলাদেশ।

তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা:

২০০৯ সালে গভীর সমুদ্রে স্থাপিত তেল বা গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রসমূহ থেকে বিশে^র মোট অপরিশোধিত তেলের ৩২ শতাংশ আহরণ করা হয়েছে। ২০২৫ সালে এটি উন্নীত হবে ৩৪ শতাংশে। এবং ক্রমশ বাড়তেই থাকবে এটি। আমাদের গ্রহের উত্তোলনযোগ্য তেলের অর্ধেকের বেশি মজুত রয়েছে গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এসব ক্ষেত্রে, এবং এরও সিকিভাগ রয়েছে গহিন জলের নিচে। এসব তথ্য বিবেচনায় নিলে অনুধাবন করা সম্ভব যে, সত্যিকার অর্থেই একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটতে যাচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। ট্রাইবুনালের রায়ের পর বঙ্গোপসাগরে ভারতের হাতে থাকা ১০টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে ৮টি এবং মায়ানমারের হাতে থাকা ১৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে ১৩টির মালিকানা ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। ইউএসজিএস৫ এর প্রতিবেদন অনুসারে উপরোল্লিখিত এসব গ্যাস ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস পাওয়া সম্ভব।৩

উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিসমূহ

দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন, পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার পাশাপাশি বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রাখতে সক্ষম আমাদের সমুদ্রসম্পদ। তবে এর সাথে মনে রাখতে হবে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথাও।

যেসব ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে সেগুলো হচ্ছে: ১. সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা ২. অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) নিরাপত্তা বজায় রাখা ৩. সমুদ্র পর্যটনের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব সামুদ্রিক অবকাঠামো নির্মাণ ৪. আন্তর্জাতিক চোরাকারবারী, মাদক, মানব এবং অস্ত্র পাচারকারী, মৎসদস্যুতা এবং মাদকসন্ত্রাসীর উৎপাত থেকে গভীর সমুদ্র এবং ইইজেড এলাকার সুরক্ষা প্রদান ৫. অর্জিত এলাকায় বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা ৬. প্রাণীবৈচিত্র্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা ৭. সমুদ্রের এবং উপকূলীয় পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখা ৮. ম্যানগ্রোভ এবং সামুদ্রিক ঘাসের সুরক্ষা ৯. জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নিঃসরণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ১০. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বজায় রাখা এবং প্রবাল জ্বলেপুড়ে যাবার কারণে পরিবেশে তাপমাত্রার তারতম্য ব্যবস্থাপনা ১১. সমুদ্রের অম্লায়ন এবং সমুদ্র কার্বন ইস্যু ১২. সমুদ্রকে দূষণ এবং বর্জ্যমুক্ত রাখা এবং ১৩. জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি এবং কৃষির ঘনায়ন।

সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি সমন্বিত সমুদ্রনীতি

বাংলাদেশের জন্য এ মুহূর্তে সবার আগে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে সমন্বিত একটি মেরিটাইম পলিসি, বা, সমুদ্র নীতি প্রণয়ণ করা। এতে মূলত নজর দিতে হবে সমুদ্র নিরাপত্তা, সমুদ্রদূষণ, সমুদ্রের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের সুরক্ষা ও সংরক্ষণ, সমুদ্রবিজ্ঞান ও গবেষণা, প্রযুক্তির সংযোজন, সমুদ্র পরিবেশ সুরক্ষা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি প্রশ্নের মোকাবেলায় নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানো এবং প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার প্রসঙ্গসমূহ।

অধ্যাপক ড. মো. ম. মারুফ হোসেন

ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ

চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়, বাংলাদেশ

Facebook Notice for EU! You need to login to view and post FB Comments!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here