লেখক- লোরি অ্যান লারোকো
আন্তর্জাতিক মুক্ত বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ব নৌবাণিজ্যের শীর্ষস্থানীয় শিপিং কোম্পানিগুলো। মোনাকো থেকে হংকং, লন্ডন থেকে এথেন্স, সিঙ্গাপুর থেকে অসলো-পৃথিবীর সর্বত্রই জাহাজমালিক এবং এ খাতে বিনিয়োগকারীরা বহু দিনের প্রচলিত বাণিজ্যের ধারাকে আমূল বদলে বন্দর ব্যবস্থা, শুল্কায়ন প্রক্রিয়াকে আজকের গতিশীল চেহারায় এনেছেন। ব্রাজিলের কৃষিপণ্য আরবে, অস্ট্রেলিয়ার আকরিক লৌহ চীনে, মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ তেল আমেরিকায় চলাচলের পথ সুগম করে আক্ষরিক অর্থেই বৈশ্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছেন তারা। আবার লাভজনক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি নৌবাণিজ্যের বাজার খুবই অস্থিতিশীল। ভৌগোলিক রাজনীতি, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে আবহাওয়ার ধাক্কা সামলে চলতে হয় এখানে বিনিয়োগকারীদের।
এত সব চালেঞ্জ জয় করে কীভাবে আন্তর্জাতিক শিপিং টাইকুন হয়ে উঠেছেন একেক জন? লোইস কর্পোরেশনের জিম টিশ, ফ্রন্টলাইন লিমিটেডের জন ফ্রেডরিকসেন, ন্যাভিওস মেরিটাইম হোল্ডিংয়ের অ্যাঞ্জেলিকি ফ্র্যানগু, টি কে কর্পোরেশনের পিটার ইভানসেন, ড্রেইফাস আর্মেচার গ্রুপের ফিলিপে লুইস-ড্রেইফাস, ডিভিবি ব্যাংকের ড্যাগফিন লুনডে, ওভারসিজ শিপহোল্ডিং গ্রুপের মর্টেন আর্নটজেন, ডব্লিউএল রস অ্যান্ড কোম্পানির উইলবার রসসহ শিপিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের জবানিতে লেখা হয়েছে ডাইন্যাস্টিস অব দ্য সি: দ্য শিপওনার্স অ্যান্ড ফিন্যানশিয়ারস হু এক্সপান্ডেড দ্য এরা অব ফ্রি ট্রেড। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন পরিবর্তন সামলে আগামী দিনে নৌপরিবহন শিল্পের সম্ভাব্য চেহারা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের শিপিং ম্যাগনেটরা স্বতঃস্ফূর্ত এবং খোলামেলা আলোচনা করেছেন মার্কিন সাংবাদিক লোরি অ্যান লারোকোর বইতে। শিপিং ব্যবসায় ২০ জন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব তথা প্রতিষ্ঠানের নানা উত্থান-পতন, নাটকীয় বাঁকবদল উঠে এসেছে এখানে। যদি কারো মনে হয় শিপিং ইন্ডাস্ট্রি একঘেয়ে বা বৈচিত্র্যহীন, তাহলে সে যেন ডাইন্যাস্টিস অব দ্য সি পড়ে নেয়-এ কথা লিখেছে খোদ নিউইয়র্ক টাইমস।
২৯০ পৃষ্ঠার বইটি ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে মেরিন মানি ইনকর্পোরেটেড। ২৫ মার্কিন ডলারে হার্ডকভার, ১৫ ডলারে পেপারব্যাক এবং ১০ ডলারে কিন্ডল সংস্করণ মিলবে অ্যামাজনে।
আইএসবিএন ১০: ০৯৮৩৭১৬৩৩১
আইএসবিএন ১৩: ৯৭৮-০৯৮৩৭১৬৩৩৪।