স্বপ্ন দেখার সাহস আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে

চার বছরের অধিক হলো চেয়ারম্যান হিসেবে হাল ধরেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের। আমূল বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানতম এ বন্দরের ভিতর-বাহিরের চেহারা। তাঁর দূরদর্শী এবং সাহসী পদক্ষেপের সুবাদে প্রথমবারের মতো নিজেদের উদ্যোগে ত্রিশ বছরের মহা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পানগাঁও টার্মিনাল চালুর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন যোগাযোগ বেড়েছে তারই সময়োচিত সিদ্ধান্তের কারণে। আট বছর পর কার্যকর হয়েছে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। বন্দরের দক্ষতা আর কর্মসামর্থ্য বাড়ানোর অন্যতম শর্ত বন্দরের অবকাঠামো যেমন, যন্ত্রপাতিগত সুবিধা বাড়ানো। এ খাতে প্রায় ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন তিনি। বর্তমানের পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ জনসম্পদ উন্নয়নেও প্রখর বিবেচনার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার উদ্যোগে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্যে দুটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মানবসম্পদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং সুবিধার জন্য অত্যাধুনিক ট্রেনিং কমপ্লেক্স। বন্দরের নিজস্ব হাসপাতাল ভবন সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়নের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে শ্রমিকদের জন্য ক্লিনিক ও ট্রমা সেন্টার। বন্দরের সর্বস্তরে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন এগিয়ে চলেছে।

দুই লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে আরও একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। সুচারু পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাড়ছে বন্দরের সামর্থ্য – লালদিয়া মাল্টিপারপাজ কনটেইনার টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল এবং পতেঙ্গার তীরবর্তী নির্মিতব্য বে কনটেইনার টার্মিনাল। এগুলো বাস্তবায়ন হলে কী ধরনের উপকৃত হতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর, তথা বাংলাদেশ, তা জানতে বন্দরবার্তার পক্ষ থেকে আমরা কথা বলেছিলাম এই নবজাগরণের নেপথ্য দ্রষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (ট্যাজ), ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন এর সঙ্গে –

বন্দরবার্তা:

আগামীর পৃথিবীর উপযোগী বন্দর গড়ে তোলার কথা বলেছেন আপনি? জানতে চাচ্ছিলাম, তার রূপ কেমন হবে?

চেয়ারম্যান:

কনটেইনার পোর্ট হিসেবে চীনের শেনজেন, কোরিয়ার বুসান কিংবা পাশের দেশ সিঙ্গাপুরের বন্দরের দিকে তাকালেও কিন্তু আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেতে পারি, কোথায় যেতে চাইছি আমরা। চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের প্রধান বানিজ্যিক গেটওয়ে, আমাদের গৌরব। গত বছরও প্রায় তিন হাজার শিপ এসেছে বন্দরে। সংখ্যাটি দশ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ। আর দেশের আমদানি-রপ্তানির পুরোটাই (৯৩ শতাংশের ওপর) নির্ভরশীল বন্দরের ওপর। ২৩ বছর ধরে প্রবৃদ্ধি ছিলো ১০ এর ঘরে। আশাতীতভাবে সেটা এখন উঠে এসেছে ১৫ শতাংশে।

হাজার প্রকার কাজ থাকে একটি বন্দরের। কিন্তু আমি মনে করি, সিপিএর প্রধানতম দায়িত্ব, ঘড়ির কাঁটা মেনে চব্বিশ ঘন্টা বন্দর সচল রাখা। এই বন্দর আমাদের হার্টবিটের মতো। একে চালু থাকতেই হবে। বিরতির অবকাশ নেই কোনো। তারপর আছে অবকাঠামোর আধুনিকায়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বন্দরের অবকাঠামো বাড়াতে নতুন করে আরও তিনটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি আমরা। এগুলো হবে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ, যেমন – নিজস্ব সোলার পাওয়ার জেনারেটর এবং আইসিটি সুবিধা থাকবে এতে। জাহাজের লেংথ কিংবা ড্রাফট যা-ই হোক, সমস্যা নাই কোনো। যত দ্রুত সম্ভব, বছরে তিন মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের টার্গেট ছুঁতে হবে আমাদের।

বন্দরবার্তা:

লয়েডস রেজিস্টারে বিশ্বের শীর্ষ বন্দর তালিকায় ৯৮ থেকে ৮৬ তম অবস্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম। কীভাবে সম্ভব হয়েছে এ সাফল্য?

চেয়ারম্যান:

ধন্যবাদ আপনাকে। বাণিজ্যের দুনিয়ায় কিন্তু আমরা নিরবচ্ছিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি সারাক্ষণ। যোগ্যতায় কিংবা দক্ষতায় প্রতিমুহূর্তে আমাদের ছাড়িয়ে যেতে চাইছে অনেকেই। ধরা যাক, পৃথিবীর শীর্ষ ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা। নিউইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের বৃহত্তম দুটি বন্দরে বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ১৪ মিলিয়ন টিইইউ। অথচ এক চীনের গুয়াংজু বন্দরেই এর চাইতে বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় এক বছরে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, শীর্ষ কুড়ি বন্দরের তালিকায় তিনটি বন্দর মাত্র ইউরোপীয়, একটি যুক্তরাষ্ট্রের আর বাকি সবগুলোই এশিয়ার ইমার্জিং অর্থনীতির দেশগুলোয়। সিপিএ-ও দায়িত্ব হাতে নেয়ার পর থেকে বর্তমান সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছি প্রতিটি ক্ষেত্রে। আমাদের দক্ষতা বেড়েছে। বন্দরে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা সারতে এখন সময় লাগছে মাত্র পাঁচ মিনিট। জাহাজে আসা মালামাল বন্দরের বাইরে বুঝে নিতে পারছেন মাত্র ৩০ মিনিটে। জাহাজের টার্ন-অ্যারাউন্ড টাইম আগের ১১ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র তিন দিনে। আমি আশাবাদী, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারলে ২০১৯ সাল নাগাদ ৭০ তম অবস্থানে চলে আসবো আমরা।

বন্দরবার্তা:

আইএসপিএস কোড লেভেল-ওয়ানে উন্নীত হয়েছে চট্টগ্রাম। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই সিকিউরিটি কোড এর তাৎপর্য কী? এবং এটি কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়?

চেয়ারম্যান:

সারা দুনিয়ার জাহাজ এবং বন্দরের নিরাপত্তা দিতে গড়ে তোলা সংস্থা আইএসপিএস কোড এর লেভেল-ওয়ান অর্থ, বন্দর কার্যক্রম পরিস্থিতি একশত ভাগ স্বাভাবিক। ঝড়, ঝঞ্ঝা, ডাকাতি, যুদ্ধবিগ্রহ, বিদ্রোহী হামলা কিংবা অন্য কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। আইএসপিএস এর আরও দুটি লেভেল আছে, দুই এবং তিন। নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়লেই বেড়ে যায় কোড লেভেল। অতএব চট্টগ্রাম বন্দর এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপদ বন্দর। তাছাড়া বন্দর মানেই তো কোটি কোটি টাকার লেনদেন প্রতি মুহূর্তে। বন্দরে জাহাজ ভেড়ার আগে থেকেই নিরাপত্তামূলক সতর্কতা নিতে হয় সবার। গত বছরগুলোয় আইএসপিএস কোড অনুসরণ করে বন্দরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছি আমরা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় মনিটর করা হচ্ছে গোটা বন্দর এবং আশেপাশের এলাকা। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূলত একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ সরকারের নৌবাহিনী, আর্মি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, পোর্ট, ডিপার্টেমেন্ট অব শিপিং, ডিজিএফআই, এনএসআই ইত্যাদি বিভাগ থেকে প্রতিনিধির সমন্বয়ে তৈরি ফুলপ্রুফ নেটওয়ার্ক। মেরিটাইম ব্যুরোর রিপোর্টে চট্টগ্রাম বন্দরে হামলার ঘটনা এখন শূন্যের কোঠায়।

বন্দরবার্তা:

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিএসআর কার্যক্রম নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে?

চেয়ারম্যান:

আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে দুটি কলেজ পরিচালনা করছি। গুণগত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি সেখানে। কলেজে আছে প্রয়োজনীয় ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, ক্যানটিন, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। বোর্ডে পরিক্ষায় কলেজের ছেলে মেয়েদের ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক। গত বছরও ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ করেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অটিস্টিক শিশুদের জন্যে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে স্পেশাল নিড স্কুল। শ্রমিক কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের আধুনিকায়ন হচ্ছে। প্রতি বছর সব শ্রমিকের জন্য ১০ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির ঘোষনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দরবার্তা:

আপনি বলেন বন্দরের কর্মীরাই বন্দরের প্রাণ। এই জনশক্তি উন্নয়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

চেয়ারম্যান:

শুধু বন্দর কেনো, সবখানেই তো কর্মীরাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রাণশক্তি। আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই, এই চট্টগ্রাম বন্দরে একসময় ৩২টি ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় ছিল। বেশিরভাগই বন্দরের বাইরের। ফলে বন্দরের সুষ্ঠু পরিচালনা ছিল, এক কথায় অসম্ভব। ২০০৮ সালে শ্রম আইন সংশোধন করে সবগুলো ট্রেড ইউনিয়ন একীভূত করা হলো। একটি মাত্র ইউনিয়নের আওতায় আনা হলো সবাইকে। বেশ কিছু নিয়ম বদলানো হলো। আগে বন্দরে কাজ হতো ১২ ঘন্টার দুই শিফটে। এখন তিন শিফটে। ফলে কাজের গুণগত মান বেড়েছে। পরিবারের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে পারছে একজন শ্রমিক। আমাদের জনবল সাত হাজারের মতো। তবে কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে এই সংখ্যা। বন্দরের শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য আছে বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুল এবং কলেজ। চিকিৎসার জন্যে আধুনিক হাসপাতাল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী চার বছরে বন্দরের ৩,৬০০ কর্মচারির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তাই আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আবাসন সমস্যা থাকবে না এবং এটি হবে বন্দরে কাজ করার এক বিশেষ প্রণোদনা।

বন্দরবার্তা:

আগামী দিনের চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কী ধরনের স্বপ্ন-পরিকল্পনা রয়েছে আপনার? বে টার্মিনাল ও লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল এখানে কতোটা জরুরি? তাছাড়া, পায়রা সমুদ্র বন্দরের কতোটুকু ভূমিকা রয়েছে এক্ষেত্রে?

চেয়ারম্যান:

আমাদের মহাপরিকল্পনা অনুসারে ২০১৮ সাল নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ২৪ লাখ কনটেইনার ওঠানামা করবে এরকম প্রক্ষেপণ থাকলেও ২০১৫ এর ডিসেম্বরেই আমরা স্পর্শ করলাম ২ মিলিয়ন টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাইল ফলক। ২০১৯ সালে, সেটি হবে প্রায় ২৭ লাখ। ওই সময়ে বন্দরের সামর্থ্য থাকবে ২৪ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের। চট্টগ্রাম বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হবে ২০১৮ সাল নাগাদ। এ কারণে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৮ সালে আর তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে পায়রা বন্দরের কাজের উদ্বোধনও করেছেন। কেননা, চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য নিতে হবে পায়রা সমুদ্র বন্দরেই। পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল আয়তনে বর্তমান বন্দর অপারেশন এরিয়ার ছয়গুন বড় হবে। বন্দর ইয়ার্ডে ৩০ হাজার কনটেইনার রাখা যেত আগে, এখন ৪৫ হাজার কনটেইনার ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। ২০২১ সালে আমাদের নির্ধারিত রপ্তানি লক্ষমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার। এসব চাপ সামলাতে হলে আমাদের অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। একটি মাত্র প্রধান সড়ক ঘিরেই চট্টগ্রাম শহর। পণ্য পরিবহন সুগম রাখতে বাইপাস হিসেবে মেরিন ড্রাইভ, রিভার ওয়েজ এবং এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ অতি জরুরি।

বন্দরবার্তা:

ভিশন-২০২১ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দরের অবদান কীরূপ?

চেয়ারম্যান:

আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক স্বপ্নদ্রষ্টা কবি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি। কে কতদূর উন্নতি করবে সেটা তার নিজের আগ্রহ আর সামর্থের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন, উন্নয়নের এই যে স্বপ্নটা, সেটা তিনি সঞ্চার করে দিয়েছেন মানুষের মনে। শুধু তাই নয় এক কোটি মানুষকে তিনি ইতিমধ্যে একধাপ এগিয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে উন্নয়নের একটি জোয়ার আমরা দেখতে পাচ্ছি চারিদিকে। শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ অনুসরণেই বন্দরের উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি আমরা। বিগত এক দশকের যা কিছু অগ্রগতি, তা মূলত আমরা সবাই মিলে এই স্বপ্নটা দেখেছিলাম বলেই। আমি মনে করি আগামী দিনেও স্বপ্ন দেখার সাহসই আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here