রোটর শিপ হলো বিশেষভাবে নকশাকৃত এক ধরনের জাহাজ, যেগুলোর প্রপালশন সিস্টেমে শক্তি সরবরাহ করে বিশালাকার ভার্টিক্যাল রোটর। এগুলো রোটর সেইল নামেও পরিচিত। জার্মান প্রকৌশলী অ্যান্টন ফ্লেটনার প্রথম এই ধরনের জাহাজ নির্মাণ করেন, যার কারণে রোটর শিপকে মাঝেমধ্যে ফ্লেটনার শিপ নামেও ডাকা হয়।
রোটর শিপের প্রপালশন সিস্টেমে শক্তি সরবরাহ হয় ম্যাগনাস ইফেক্টের মাধ্যমে। ম্যাগনাস ইফেক্ট হলো এক ধরনের বল, যা বায়ুস্রোতের গতিপথে থাকা ঘূর্ণায়মান বস্তুর ক্ষেত্রে তৈরি হয়। এই বল বায়ুস্রোতের গতিপথ ও রোটরের অক্ষের সমকৌণিকভাবে উৎপন্ন হয়।
রোটরের নিজের শক্তি কিন্তু বাতাস থেকে আসে না। এর জন্য নিজস্ব শক্তির উৎসের প্রয়োজন হয়। পালযুক্ত অন্যান্য জাহাজের মতো রোটর শিপেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট আকারের কনভেনশনাল প্রপেলার থাকে। এই প্রপেলার জাহাজের রোটর শিপ হলো বিশেষভাবে নকশাকৃত এক ধরনের জাহাজ, যেগুলোর প্রপালশন সিস্টেমে শক্তি সরবরাহ করে বিশালাকার ভার্টিক্যাল রোটর। এগুলো রোটর সেইল নামেও পরিচিত। জার্মান প্রকৌশলী অ্যান্টন ফ্লেটনার প্রথম এই ধরনের জাহাজ নির্মাণ করেন, যার কারণে রোটর শিপকে মাঝেমধ্যে ফ্লেটনার শিপ নামেও ডাকা হয়।
রোটর শিপের প্রপালশন সিস্টেমে শক্তি সরবরাহ হয় ম্যাগনাস ইফেক্টের মাধ্যমে। ম্যাগনাস ইফেক্ট হলো এক ধরনের বল, যা বায়ুস্রোতের গতিপথে থাকা ঘূর্ণায়মান বস্তুর ক্ষেত্রে তৈরি হয়। এই বল বায়ুস্রোতের গতিপথ ও রোটরের অক্ষের সমকৌণিকভাবে উৎপন্ন হয়।
রোটরের নিজের শক্তি কিন্তু বাতাস থেকে আসে না। এর জন্য নিজস্ব শক্তির উৎসের প্রয়োজন হয়। পালযুক্ত অন্যান্য জাহাজের মতো রোটর শিপেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট আকারের কনভেনশনাল প্রপেলার থাকে। এই প্রপেলার জাহাজের ম্যানুভারেবিলিটি ও অল্প গতিতে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভ‚মিকা রাখে। এছাড়া যখন বায়ুপ্রবাহ থাকে না এবং রোটর বন্ধ থাকে, তখন এই প্রপেলার জাহাজকে গতিশীল রাখে।
একটি হাইব্রিড রোটর শিপে প্রপেলারগুলো প্রপালশনের প্রাইমারি সোর্স হিসেবে কাজ করে। আর রোটরগুলো শক্তি সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলে। এতে করে সার্বিকভাবে জ্বালানি ব্যয় অনেকটাই কমে যায়। গবেষকরা বলেন, রোটর সেইল একটি জাহাজের জ্বালানি বাবদ খরচ ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারে।
১৯২৪ সালে ফ্লেটনারের তৈরি বিশ্বের প্রথম রোটর শিপের নাম ছিল বুকাউ। এতে ব্যবহৃত দুটি রোটরের উচ্চতা ছিল প্রায় ১৫ মিটার। ব্যাস ছিল ৩ মিটার। জাহাজটির ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেমে শক্তি উৎপাদন হতো ৫০ হর্সপাওয়ার (৩৭ কিলোওয়াট)।
রোটর সেইল ও রোটর শিপ নিয়ে শিপিং খাতসংশ্লিষ্টদের আগ্রহ চাঙ্গা হয় ১৯৮০-এর দশকে। প্রথাগত জাহাজগুলোর তুলনায় রোটর শিপে জ্বালানি ব্যয় কম হওয়ার কারণে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জাহাজে এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে।