চায়না’স মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি: দ্য ইভোলিউশন অব আ গ্রোয়িং সি পাওয়া

সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে চীনের কৌশলগত অবস্থানের ধারাবাহিক বিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। এই বিবর্তনের কারণইবা কী, সেই পর্যালোচনাও করেছেন লেখক।

সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে চীনের তৎপরতার ইতিহাস খুব বেশি পুরনো নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের অধিকার ও স্বার্থের সুরক্ষা নিয়ে বেশ তৎপর হতে দেখা গেছে বেইজিংকে। এ বিষয়ে নীতিকৌশল প্রণয়ন ও পদক্ষেপ গ্রহণে চীনের অগ্রগামিতা বেশ চোখে পড়ার মতো।

সমুদ্রে শক্তি প্রদর্শনে চীন কতটা সক্ষমতা অর্জন করেছে, সে বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে সবারই। দেং শাওপিং থেকে শুরু করে শি জিনপিংয়ের শাসনামল পর্যন্ত সমুদ্র নিরাপত্তা কৌশলে বেইজিংয়ের অগ্রগামিতার সার্বিক চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে লেখক সেই আগ্রহ মেটানোর চেষ্টা করেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনা নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র নিরাপত্তার অন্যান্য অংশীজন, যেমন কোস্ট গার্ড বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে বাড়তি ক্ষমতা। এসব পদক্ষেপ দেশটিকে কৌশলগত দিক থেকে কতটা সুবিধা প্রদান করেছে, সেই বিষয়ে পর্যালোচনা রয়েছে বইটিতে।

চীনে বিভিন্ন শাসনামলে জাতীয় কৌশলগত দিকনির্দেশনায় এসেছে পরিবর্তন। এই পরিবর্তন দেশটির সমুদ্র নিরাপত্তাতেও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রার চার দশকে বেইজিং সমুদ্রবিষয়ক কিছু অগ্রাধিকারমূলক এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে। এই এজেন্ডাগুলোর মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে আঞ্চলিক ঐক্য। এরপর রয়েছে উন্নয়ন এবং তারপর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র-সহায়তা।

চীনের বহুমাত্রিক সমুদ্র শক্তিকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে হলে দেশটির জাতীয় রাজনীতির গতিবিধিও বুঝতে হবে। চায়না’স মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি বইটির বিষয়বস্তু তাই কেবল সমুদ্রতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং দেশটির জাতীয় অর্থনীতির ওপরও আলোকপাত করেছেন লেখক।

নৌ কৌশল, সমুদ্র নিরাপত্তা, চীনা রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে, বইটি তাদের জন্য একটি আকরগ্রন্থ হতে পারে। ২৫৬ পৃষ্ঠার চায়না’স মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি বইটির প্রকাশক রাউটলেজ। এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর। বইটির হার্ডকভার সংস্করণের মূল্য ধরা হয়েছে ১২০ পাউন্ড।

আইএসবিএন: ৯৭৮০৩৬৭৭৪৫৬৪৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here